♦︎ গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট!
▇ ১০ মে, ২০২২ খ্রীষ্টাব্দ, মঙ্গলবার।
⦁ পূর্বাভাস পেজে প্রকাশের সময় ১২:০০ পূর্বাহ্নে(PM)
♦︎ বেসরকারী গবেষণাকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত তথ্য(BWOT)।
——————————–
?ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ গত চব্বিশ ঘন্টায় কিছুটা উত্তরমুখী হয়ে আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে।
ঝড়টির শক্তি বিভিন্ন সময়ে কম-বেশি হতে দেখা যায়।
ঝড়টি ক্রমাগত ভারতীয় উপকূলের নিকটবর্তী
হতে থাকবে এবং ভারতীয় উপকূল ঘেঁষে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটাতে ঘটাতে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ
অতিক্রমের সম্ভাবনা প্রবল।
ঝড়টি উড়িষ্যা উপকূলের সবচেয়ে নিকটবর্তী থাকবে।
উপকূলে সংঘর্ষের কারণে এবং বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে
গভীর নিম্নচাপ বা সাধারণ ঘূর্ণিঝড় আঁকারে বাংলাদেশের নিকটবর্তী হবে।
ঝড়টি প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিবাহি মেঘ সঞ্চয় করে চলেছে।
বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এই ঘূর্ণিঝড় থেকে ব্যাপক বৃষ্টিপাত থাকবে বাংলাদেশের মধ্যে।
ঝড়ের কারণে বাংলাদেশে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকলেও বৃষ্টির কারণে মারাত্মক ক্ষতির
সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারিভাবে সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী
হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আমাদের অন্যান্য পেজের আপডেট দেখুন এবং
ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
?
এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের দূরবর্তী অঞ্চলের মেঘের কারণে
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী বিভাগসমূহে মাঝারি,
ভারী, অতি ভারী বৃষ্টিপাতসহ মাঝারি ও ভারী
ধরণের বর্ষণ হতে দেখা যায়।
এছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগের বেশিরভাগ স্থানে
বিরতিসহ আকস্মিক ধরনের বৃষ্টিপাতের
প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এখনও স্থানে স্থানে বৃষ্টি চলমান।
ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের নিকটবর্তী হওয়ার সাথে সাথে
দক্ষিণ অঞ্চল থেকে মধ্যাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের
মধ্যে মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টিপাত দফায় দফায় হতে দেখা যাবে।
বর্তমানে বেশী বৃষ্টিপাত চালু রয়েছে চট্টগ্রাম-বরিশাল
বিভাগের মধ্যে এছাড়া খুলনা বিভাগের
দক্ষিণের কিছু স্থানে। ময়মনসিংহ বিভাগে ও আশপাশের এলাকায় ঘন মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত চালু আছে।
দেশের বাকি এলাকাসমূহের কিছু কিছু স্থানে বিক্ষিপ্ত
আকারে বৃষ্টিপাত হতে দেখা যাচ্ছে।
খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের
মধ্যে মেঘের ফাঁকে রোদের উপস্থিতি এবং ভ্যাঁপসা
গরম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিভাগসমূহের স্থানে স্থানে বৃষ্টি বিরতি চলছে তবে আজ আকস্মিক বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
আগামীকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের মূল মেঘ বাংলাদেশে
প্রবেশ শুরু হলে প্রথমে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম
বিভাগে এবং ক্রমশ ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট,
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন শ্রেনীর বৃষ্টিতে আক্রান্ত হবে। মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে প্লাবিত হবে অনেক এলাকা।
আজ দুপুরের পর থেকে উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত
এর প্রবণতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
এরপর ক্রমশ উত্তরাঞ্চলের দিকে বিস্তার লাভ করবে। লতি ১১-১২ তারিখে দেশের মধ্যে সর্বাধিক বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
নজিরবিহীন বৃষ্টিপাত দেখা যাবে এই ঘূর্ণিঝড় থেকে।
রোদে শুকানোর কাজ এবং ধান কাটা ও প্রক্রিয়াধীন
সকল কাজ গুছিয়ে ও গুটিয়ে ফেলুন। মে মাসের ১৭/১৮ তারিখ থেকে দেশের বেশিরভাগ এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
?
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১১:০০(AM) টার দিকে
ঘূর্ণিঝড়টির নিম্নভাগের কেন্দ্র থেকে নিকটতম ভারতীয়
উপকূলের দূরত্ব: ২০৩ কিঃমিঃ প্রায়। বাংলাদেশের কুয়াকাটা থেকে দূরত্ব: ১০৭৬ কিঃমিঃ প্রায়।
বাংলাদেশের টেকনাফের সমূদ্র সৈকত থেকে দূরত্ব:
১১৮৩ কিঃমিঃ প্রায়।
? আজ সকাল ১১:১০ মিনিটের চিত্রে সাদা স্থানসমূহে
মেঘের উপস্থিতি বুঝতে হবে।
যত বেশি সাদা তত বেশি ঘন মেঘ বুঝতে হবে।
? নিজ নিজ এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
সম্পর্কে কমেন্টে উল্লেখ করুন।
——————————–
* ঢাকার সময় অনুযায়ী:—
* আগামীকাল সূর্যোদয়: ৫:১৮ মিনিটে।
* আগামীকাল সূর্যাস্ত: ৬:৩১ মিনিটে।
* আগামীকাল দিনের দৈর্ঘ্য:—
(১৩ ঘন্টা ১২ মিনিট ৫২ সেকেন্ড)