ফলের ব্যবসার আইডিয়া – বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের ভিতরে আপনাদের সাথে আমি ফলের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব।

তাহলে আসুন জেনে নেই ফলের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। অনেকেই আছে যারা এই বিজনেস শুরু করতে চান কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বুজতেছেন না , তাদের জন্যই আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি।

ফলের ব্যবসার আইডিয়া

ফলের ব্যবসার ভিতরে কিন্তু অনেক ধরনের ব্যবসা আছে। যেমন মনে করুন যে , খুচরা ফল এর ব্যবসা, পাইকারি ফলের ব্যবসা, এই রকমের অনেক বিজনেস আছে। আজকে আমরা সেই সকল বিজনেস নিয়েই A TO Z আপনাদের সকলের সাথে আলোচনা করব।

ফলের ব্যবসা কেন করবেন?

ফলমূলের ব্যবসা করে প্রচুর আয় করা যায়। মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফলের দোকান দিয়েই মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়। ফলমূলের ব্যবসা খুব সহজেই করা যায়।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম একটা ব্যবসা হলো ফলমূলের ব্যবসা। ঢাকার প্রতিটি অলিগলি থেকে শুরু করে গ্রামের প্রতিটা হাটবাজারে ফলমূলের দোকান দেখা যায়।

আপনি জানলে অবাক হবেন যে, আমরা যেই ফল ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি, সেই একই ফল ফলের দোকানদারেরা ৭০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি ধরে কিনে, সেই একই ফল মূলফল বাগান থেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দিয়ে কেনা হয়ে থাকে।

ফলের পাইকারি ব্যবসা

ফলের পাইকারি ব্যবসা হল লাভজনক ১টি ব্যবসা পদ্ধতি হিসাবে সকলের কাছে প্রমাণিত। আপনারা কিন্তু ইচ্ছা করলেই এই প্রক্রিয়াতে বিভিন্ন স্থান হতে ফল সংগ্রহ করে এনে তারপরে সেই ফলগুলোকে পাইকারি দামে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে দিতে পারবেন।

আপনারা এই ক্ষেত্রে যত বেশি ফল কিনে আনতে পারবেন এরপরে যত বেশি পরিমানে আপনারা বিক্রি করতে পারবেন ঠিক ততটাই কিন্তু আপনাদের লাভ হতে থাকবে। আর তাই সেই জন্যই বলা যায় যে , ফলের পাইকারি ব্যবসা করার থেকে ও ভালো পরিমাণে রোজগার করা আসলেই সম্ভব।

খুচরা ফলের ব্যবসা

খুচরা ফল এর ব্যবসা বলতে এইখানে বুঝানো হয়েছে আপনারা বড় বড় ফল এর যে সকল বাজার আছে সেখান থেকে কম সংখ্যক ফল কিনে নিয়ে আসার পরে তারপরে সেইগুলোকে বাজারে বাজারে কিংবা গ্রামে গ্রামে বিক্রি করাকেই বুজানো হয়ে থাকে।

খুচরা ফলের ব্যবসা করে ও কিন্তু আপনারা দিনে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারবেন। তাই আপনারা ইচ্ছা করলে কিন্তু এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারবেন। তাছাড়া ও কিন্তু আপনারা চাইলে এইক্ষেত্রে ফল এর জুসের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

ফলের দোকানের ব্যবসা

আপনারা যদি ইচ্ছা করেন তাহলে কিন্তু আপনারা সরাসরি বিভিন্ন স্থান হতে ফল কিনতে এনে সেগুলোকে আপনারা একটি দোকান দিয়ে বিক্রি করতে পারেন। পাইকারীভাবে ফল কিনে যদি আপনারা দোকানে বসে বিক্রি করেন তাহলে কিন্তু এই বিজনেস থেকে বেশ ভাল পরিমানেই লাভবান হতে পারবেন।

অনন্য সকল বিজনেস এর থেকে কিন্তু এই বিজনেসে অনেক লাভ বেশি হয়ে থাকে। যেহেতু এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে নিজেদের দোকান থাকবে তাই আপনাদের লাভ এর পরিমাণটা ও কিন্তু আরো অনেক বেশি হতে থাকবে। আপনারা ইচ্ছা করলে কিন্তু ফলের দোকান দিয়ে বিজনেস শুরু করে দিতে পারেন।

ফলের ব্যবসাতে লাভ কিরকমের ?

আপনারা যদি ফল এর ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু এটা সুষ্ঠুভাবে করতে পারবেন আর ব্যবসা বুঝে যদি যান একবার তাহলে কিন্তু এইখান থেকে ও আপনারা ভালো পরিমাণে লাভ করতে পারবেন। আপনারা এই ক্ষেত্রে যত বেশি ফল বিক্রি করতে পারবেন আপনাদের লাভের পরিমাণটা ও কিন্তু সেইভাবেই বাড়তে থাকবে। আশা করি যে , আপনারা বুজতে পেরেছেন।

মনে করুন যে, আপনারা ১০০ কেজি আপেল ১৩০ টাকা করে কিনলেন কেজি দরে বড় কোন পাইকারি বাজার হতে কিনে আনলেন এইবার আপনারা সেইগুলোকে আপনাদেরকে বাজারজাতকরণ করা লাগবে ১৬০ টাকা কেজি হিসেবে। তাহলে কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনাদের দেখা যাবে যে , লাভ হবে ৩০×১০০=৩০০০ টাকার মত।

তাহলে আপনারা কিন্তু এই ফল বিক্রি করার যে পরিমাণ আছে সেটা যত বেশি বৃদ্ধি করতে পারবেন আপনাদের লাভের পরিমাণটা ও কিন্তু তত বেশি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আপনাদেরকে কিন্তু অবশ্যই ভালো ফল সংরক্ষণ করা লাগবে যাতে কাস্টমারেরা আপনাদের ফল খেয়ে সন্তুষ্ট হতে পারে। ফল এর ব্যবসাতে আপনারা যে কোন ব্যবসা এর পাশাপাশি শুরু করে দিতে পারেন।

ফলের ব্যবসা করতে কত টাকা প্রয়োজন?

ফলমূলের ব্যবসা শুরু করতে ৫০ হাজার টাকা হলে করা যাবে। বর্তমানে সবচেয়ে সেরা বিজনেস আইডিয়া হলো যে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে খুব সহজে ফলমূলের ব্যবসা করা যাবে।

প্রথম প্রথমে ভালো একটা জনসমাগম জায়গা দেখে সেখানে ছোট্ট একটি দোকান ভাড়া নিলে মাসে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হবে। এছাড়া ফল আনা নেওয়ার যাতায়াত খরচ হতে পারে দুই থেকে তিন হাজার টাকা।

তাছাড়া আরো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ কেনার জন্য সব মিলিয়ে ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। মোট মূলধনের দশ হাজার টাকা বিভিন্ন প্রয়োজনে খরচ হয়ে গেলে বাকি ৩৫ হাজার টাকা রয়ে যায়।

বাকি থাকা মূলধন ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে খুব সহজেই ফলমূলের ব্যবসা করা যাবে।

এই ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রথমে ২০ হাজার টাকার ফল পাইকারীতে কিনতে হবে। বাদবাকি ১৫ হাজার টাকা রেখে দিতে হবে। ১৫ হাজার টাকা রেখে দিবেন এ আশায় যে৷ পরবর্তীতে আবার বিনিয়োগ করা যায়।

আমাদের শেষ কথা

তাহলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের ভিতরে আপনাদের সাথে আমি ফলের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি যে, আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভাল লেগেছে।

লেখাটি পড়ে যদি আপনাদের ভাল লাগে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের বন্দুদের কাছে শেয়ার করে দিবে। তাহলে তারাও এই বিজনেসটা সম্পর্কে জানতে পারবে।

Share the article..

Leave a Comment