কিভাবে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করা যায় দেখুন

কসমেটিক ব্যবসাঃ কিভাবে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করবেন যেকোন ব্যবসায় শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে সে ব্যবসায় সম্পর্কে খুব ভালভাবে খোঁজখবর নিতে হবে।যাবতীয় খুঁটিনাটি নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে।কখন বিনিয়োগ করতে আর কতটুকুই বা করতে হবে এসবকিছুকে একটা পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে যাচাইবাছাই প্রক্রিয়ার দ্বারা বাস্তবায়িত করতে হবে। একটা পরিপূর্ণ পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনাকে সামনে এগোতে হবে।

কসমেটিক ব্যবসা

প্রথমে কি ব্যবসায় করতে চান,এরপর আপনার পুঁজি কতটুকু, আপনার অংশিদার থাকবে নাকি আপনি একা করবেন,ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জায়গা নির্বাচন। অন্যান্য ব্যবসার মত কসমেটিক ব্যবসায় ও একটি ভাল ব্যবসা।ছোট ,বড়, নারী, পুরুষভেদে সকলেই প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে সিজনভেদে এবং বয়সভেদে এর চাহিদার মাত্রাতেও রয়েছে ভিন্নতা।এখন আসা যাক এই ব্যবসা শুরু করার প্রক্রিয়ায়।আপনি যদি নতুন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন এবং কসমেটিক এর ব্যবসায় শুরু করতে চান তবে আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হল প্রসাধনী সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার করতে হবে,প্রতিটি প্রসাধনী সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে,এর কার্যাবলী এবং ব্যবহার প্রণালী,বিধিনিষেধ ইত্যাদি সব কিছু আপনাকে জানতে হবে। আরও পড়ুন :

১০টি সেরা পাইকারী ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন এখনই
কিভাবে কসমেটিকস্ ব্যবসা শুরু করবেন
এরপর কতটাকা বিনিয়োগ করবেন সেটা ঠিক করতে হবে। আপনার যদি মূলধন কম থাকে তবে আপনি ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে মুলধন সংগ্রহ করতে পারেন। এরপর দু একদিন আপনাকে ব্যবসাটির স্থান নির্ণয়ের জন্য এবং এর সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা অর্জনের আপনাকে বাজার গবেষণা করতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থান নির্বাচন অধিক গুরুত্বপূর্ন। জেন্ডার অনুযায়ী যেহেতু কসমেটিকস্ আলাদা হয় সেহেতু আপনি কাদের নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন ভেবে নিন। খুবই ভাল হয় যদি আপনি কেন বিক্রেতার সাথে সরাসরি কথা বলেন।এতে আপনার ব্যবসায়িক কৌশল সম্পর্কে ধারনা অর্জন হবে।উদাহরন স্বরুপ আপনি যদি নারীদের প্রসাধনী নিয়ে কাজ করতে চান তবে কি কি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন তা নির্বাচন করুন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামের চাইতে স্থান নির্বাচন অধিক গুরুত্বপূর্ন।

কিভাবে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করবেন

মুলধন অনুযায়ী আপনাকে স্থান নির্বাচন করতে হবে। খুব ভালো হয় কোনো কসমেটিক্স ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ আলোচনা করে নিতে পারলে। এরপর আপনি বড় বড় পাইকারি মার্কেট থেকে মালামাল কিনে আনতে পারেন।এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।গ্রাহকদের সাথে সঠিক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে এ ব্যবসায়। এরপর আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার প্রতিদন্দীদের মোকাবেলা করা। নতুন নতুন কসমেটিক্সের সবার আগে আপনাকে বাজারে নিয়ে আসতে হবে প্রতিদন্দিতায় টিকতে হলে।

পড়ুন :

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর ১০টি অসাধারন উপায়

আপনাকে সব সময় কৌশলে এগোতে হবে।ব্যবসা করতে কখনো ধরা বাধাঁ প্রাতিষ্ঠানিক বা শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না যা প্রয়োজন তা হল ব্যসায়িক ধারনা, জ্ঞান বা কৌশল।কসমেটিক্স ব্যবসায়ের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। সঠিক দিকনির্দেশনা মোতাবেক পরিচালনা করতে পারলে ব্যপক লাভের সুযোগ রয়েছে । প্রাপ্ত বয়স্ক যেকোন বয়সী মানুষের জন্য কসমেটিক ব্যবসায় বেশ ভাল লাভজনক ব্যবসায় ।বর্তমানে তরুন তরুণীদের এই ব্যবসায় প্রতি অনেক ঝোঁক দেখা যায় এবং তারা সফলতার সাথে এ ব্যবসায় পরিচালনা করে আজ সাবলম্বী হয়েছেন। আপনি ধৈর্য্যশীল,পরিশ্রমী ও আত্মবিশ্বাসী হলে এ ব্যবসায় অবশ্যই সফল হবেন।

তবে হাতে টাকা থাকলে ই যেকোন ব্যবসা শুরু করে দিবেন না। আপনি যেই ব্যবসাটি করতে চাচ্ছেন সেই ব্যবসাটি করে সফল হয়েছে এমন একজন এর সাথে সব বিষয় নিয়ে খোলা মেলা আলোচনা করুন। এতে আপনি অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারবেন। তাই আপনার ব্যবসা লস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। আমরা সাধারণত কোন কিছু রিচার্জ না করেই ব্যবসা শুরু করে দেই । এটা আসলে ঠিক না। একটি ব্যবসা শুরু করার সময় অনেক দিকে দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। তা না হলে ব্যবসা ঝুকি চলে আসার সম্ভাবনা থেকে যাবে। ধন্যবাদ।

Share the article..

Leave a Comment