কোভিড ১৯ থেকে বাঁচার উপায়

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনাদেরকে আবারো আমাদের সাইটে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক স্বাগতম জানাই। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে কোভিড ১৯ থেকে বেচে থাকার বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করা যাক।

কোভিড ১৯ থেকে বাচার উপায়

আপনার শরীরে জ্বর যরি ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর বেশি থাকে,গলাব্যাথা কাশি,শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। এ সংক্রান্ত উপসর্গ দেখা দিলে অতিসত্বর সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনির্ণয় ও গবেষনা প্রতিষ্ঠানের হটলাইনে যোগাযোগ করুন।

এ ক্ষেত্রে অব্যশই সকলের থেকে অন্তত ৬ ফূট দুরত্বে থাকুন। এবং মাস্ক ব্যবহার করুন। এ ভাইরাসের জন্য আজ পর্যন্ত কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। এ ক্ষেত্রে আইসোলেশন বা রোগীকে আলাদা রাখা বিশেষ জরুরী। কেননা এটি আক্রান্ত রোগী থেকে অন্যের কাছেও ছড়াতে পারে।

কাজেই এই ভাইরাস যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শ এ বা হাচি কাশির মাধ্যমে এটি ছড়াতে পারে।এই ভাইরাস প্রতিরোধ এ আগে থেকেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

যেমন: ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, এবং টিস্যু ব্যবহার করে আবুদ্ধ স্থানে ফেলে দেওয়া। আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে দূরে থাকা।এবং মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। করোনা ভাইরাস নিয়ে খুব বেশি আতংকিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।কিছু সাধারন হাইজিন মেনে চললে এ রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। নিম্নে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।

কোভিড ১৯ থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু টিপস

১) জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জন সমাগম পরিহার করা। বাইরে বের হলে গনপরিবহন এড়িয়ে চলা।

২) বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করুন। করমর্দন, আলিঙ্গন, বা এ ধরনের সংস্পর্শ বন্ধ রাখুন। বাইরের কারো সাথে ছয় ফুট দুরত্ব বজায় রাখুন।

৩) বারবার সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত মুখ ধৌত করুন। অথবা ৭৯% এলকোহল বেসড স্যানিটাইজার সাথে রাখুন।

৪)হাত না ধুয়ে চোখ নাক,মুখ স্পর্শ না করা।

৫) অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্শ এ না আসা।

৬)প্রচুর পানি পান করা এবং ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল শাক সবজি বেশি খাওয়া। মাছ মাংস ভালোভাবে সিন্ধ করে রান্না করতে হবে।

৭) হাচি কাশি দেওয়ার পরে,রোগির সেবা দেওয়ার পরে,মলত্যাগের পরে,খাবার খাওয়ার আগে এবং রান্নার আগে হাত ধুয়ে নেওয়া।

৮) বাসায় মানুষজনের সমাগম বন্ধ করতে হবে।সব ধরনের জনসমাগম যতোটা পারা যায় এড়িয়ে চলতে হবে।

৯) পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র,সিনেমা হল,রেস্তোরা অযথা আসা যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

সর্বোপরি নিজেকে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে। কেউ যদি বাইরের আসা যাওয়া করেন। এবং যে স্থানে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ বেশি সে স্থানে যান তাহলে তাকে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় থাকতে হবে। এবং যদি করোনার কোনো একটি লক্ষন দেখা দেয় তাহলে আইসোলেশন এ রেখে কোভিড ১৯ পরিক্ষা করাতে হবে।

 

তবে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধ এ ভ্যাক্সিন বানানো হয়েছে। এই রোগ প্রতিরোধের জন্য যা বিভিন্ন দেশের মানুষ গ্রহন করছে। তবে ভ্যাক্সিন নিলেও করোনাতে সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ থাকে। তাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং সবাইকে সচেতন করতে।

তো প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্ট টি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আমাদের সাইটে এরকম আরো অনেক হেল্পফুল পোস্ট রয়েছে সেগুলো পড়তে চাইলে আমাদের সাইট টি একবার ভিজিট করুন। আর আজকের মতো এখানেই বিদায়, ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।

Share the article..

Leave a Comment