ঘার ব্যাথার ঘরোয়া টোটকা (চিকিৎসা)।

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আমি মহান আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে স্বাগতম জানাই। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে ঘাড়ে ব্যাথা হলে সেটা থেকে নিরাময় পাওয়ার জন্য কিছু ঘড়োয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। তো চলুন আর দেরি না করে আজকের পোস্ট টি শুরু করা যাক।

 

ঘাড়ের ব্যাথা নিরাময়ে ঘড়োয়া উপায়

আমাদের সকলের ই হয়তো প্রায়ই ঘাড়ে ব্যাথা হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় রাতে ভালো ভাবে ঘুমালাম আর সকালে উঠে দেখলাম ঘাড় প্রচন্ড ব্যাথা করছে। আবার খেলতে গিয়ে ঘাড়ে চোট পেলাম। কাজ করতে গিয়ে আচমকা ঘাড় টি মোচর দিয়ে উঠলো। ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা এমন অবস্থায় অনেকে হয়তো ভুগছেন।

তাই যদি আপনাদের ঘাড়ে কোনো প্রকার চোট লাগে বা আচমকা ব্যাথা শুরু হয় তাহলে আপনি প্রথমে আমাদের নিচে বলা ঘড়োয়া উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার ঘাড় যদি অত্যান্ত বেশি ব্যাথা হয় তাহলে আপনি এই বিষায়ক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। অন্যথায় আপনি আমাদের বলা ঘড়োয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এগুলো ও বেশ কার্যকরী।

 

ম্যাসাজ

ঘাড়ের ব্যাথা কমাতে ‘ম্যাসাজ’ একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হিসেবে কাজ করে। যাদের ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা করছে তারা চাইলে ম্যাসাজ করে নিজের ঘাড়ের ব্যাথা কমাতে পারেন। ম্যাসাজ করার জন্য নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল ঘাড়ে এবং কাধে লাগিয়ে ১০ মিনট ধরে ম্যাসাজ করলে আপনার ঘাড়ের ব্যাথা কমাতে এটি অনেক সাহায্য করবে।

 

আইস প্যাক

আইস প্যাক ও অনেক ভালো একটি উপায় ঘাড়ের ব্যাথা নিরাময়ের জন্য। যাদের ঘড়ে ব্যাথা করছে তারা চাইলে এই উপায় টি কাজে লাগাতে পারেন। এর জন্য আপনারা কিছু আইস কিউব, কোনো কাচের গ্লাস,স্টিলের গ্লাস কিংবা আইস ব্যাগে ভড়ে ব্যাথা যায়গায় লাগাতে থাকবেন।

আর যদি গ্লাস বা আইস ব্যাগ না থাকে বা ওই ভাবে দিতে গেলে আপনার ব্যাথা যায়গায় বেশি ঠান্ডা বা জ্বলতে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনারা একটি তোয়ালে তে কিছু আইস কিউব রেখে সেটা নিজের ঘাড়ের ব্যাথা আক্রান্ত যায়গায় দিনে ২-৩ বার ১৫ মিনিট করে লাগাতে পারেন। আবার যদি আপনাদের ঘাড় বাদে অন্য কোথাও ব্যাথা করে তাহলেও আপনারা এই উপায় টি কাজে লাগাতে পারেন। কারণ ব্যাথা যায়গায় ঠান্ডা তাপমাত্রা ব্যাথা নিরাময়ে বেশ ভালো কাজ করে।

 

হলুদ

হলুদে উপস্থিত থাকা অ্যান্টি – ইনফ্ল্যামেটরি নামক একটি উপাদান আছে যা ঘাড়ের ব্যথা নিরাময়ে আপনাকে বেশ সাহায্য করবে। এটি ছাড়াও, হলুদ রক্ত সঞ্চালন আগের তুলনায় বৃদ্ধি করতে ও বেশ সাহায্য করে। নারকেল তেল এবং এর সাথে হলুদ মিক্স করে ব্যথার স্থানে মিশ্রণটি কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন।

এটি ব্যথা কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে। আবার হলুন দিয়ে অন্য একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেও ব্যাথা নিরানয় করা যায়। এক গ্লাস দুধে এক চা – চামচ হলুদ গুঁড়ো মিক্স করে সেটি কে গরম করে নিন এবার অল্প পরিমাণে মধু যোগ করে দিন এই মিক্স টি তে। দিনে দুই বার এই মিশ্রণ টি পান করুন। এটা ও শরীর এবং ঘাড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

 

ঘাড়ের ব্যায়াম

ঘাড়ের ব্যাথা কমাতে অনেক গুলো পদ্ধতি আছে, যা আপনাদের সাথে উপরে শেয়ার করলাম। কিন্তু এবার যে পদ্ধতি টি বলবো সেটা কিছুটা আলাদা। এটি মূলত ঘাড়ের ব্যায়াম। ঘাড়ের ব্যায়াম ঘাড়ের ব্যাথা কমাতে অনেকটা সাহাযে করে। আপনি যদি এই পদ্ধতি টি পালন করতে চান তো নিচের উল্লেখিত পদ্ধতি টি পালন করুন। ঘাড়ের ব্যায়াম করার আগে আপনার মাংস পেশি কে প্রসারিত করতে হবে। এর জন্য প্রথমে আপনার ঘাড়ে গরম সেক দিয়ে দিন।

এবার আপনার ঘাড় টি কে বৃত্ত আকার গতিতে একবার ক্লক ওয়াইজ ও আবার অ্যান্টি ক্লক ওয়াইজ ভাবে কিছুক্ষণ ঘোড়ান। এবার ঘাড় টি আস্তে আস্তে করে একবার পিছনে এবং একবার সামনে, আবার একই ভাবে একবার ডান পাশ এবং আবার একবার বাম পাশে ঘোরাতে থাকুন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে দিনে ৩ থেকে ৪ বার এই ব্যায়াম টি করুন। এটি ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে আপনাকে বেশ ভালো একটি ফলাফল দিবে।

 

আশা করছি এই উপায় গুলো ব্যবহার করলে আপনার ঘাড়ের ব্যাথা আগে তুলনায় অনেক টা কমে যাবে। এবং সকলে একটু সাবধানে থাকবেন। সামনে আবার শীতকাল। শীত প্রায় পড়েই গেছে। এখন যদি ঘাড়ে বা শরীরের কোথাও সামান্য ব্যাথা হয় তো সহজে সেই ব্যাথা দূর হবে না। তাই সবাই একটু সাবধানে থাকবেন।

 

তো বন্ধুরা আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্ট টি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আমাদের সাইটে এরকম আরো অনেক হেল্পফুল পোস্ট রয়েছে সেগুলো পড়তে চাইলে আমাদের সাইট টি একবার ভিজিট করুন। আর আজকের মতো এখানেই বিদায়, ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।

Share the article..

Leave a Comment