ডিম খাওয়ার উপকারীতা

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে ডিম খাওয়ার উপকারীতা এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

 

ডিম খাওয়ার উপকারীতা

❝ডিম❞ নামক শব্দ টি এর সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। পুষ্টিগত ও গুণ গত দিক দিয়ে সমৃদ্ধ একটি খাবার হলো ডিম। ডিম আমাদের স্বাস্থ্য এর জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। তবে আমাদের মাঝে এমনও অনেক ব্যাক্তি আছেন যারা কিনা হৃদরোগের আশঙ্কা ও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডিম খেতে ভয় পান।

বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিদ ও পুষ্টিবিদদের মতে প্রতিদিন সকাল বেলা নাস্তা করার সময় একটি করে ডিম খাওয়া খুবই ভালো। এটা আপনার বিভিন্ন রোগ কে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে৷ আপনি কিভাবে ডিম টি খাচ্ছেন তার উপর।

অনেকে আছেন যারা ডিমের কুসুম ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র সাদা অংশ খান। তবে পুষ্টিবিদদের মতে আপনি দিনে সর্বোচ্চ ২ ডিম কুসুম সহ খেতে পারবেন এতে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু এর থেকে বেশি ডিম খেলে অবশ্যই কুসুম না খেয়ে শুধু সাদা অংশ খাওয়া উচিত।

অন্যদিক দিয়ে দেখতে গেলে, ডিম যতই ভাজা হয় এর পুষ্টি ঠিক ততটাই হ্রাস পায়। এই জন্য ডিম সব সময় হাফ বয়েল (অর্ধ সিদ্ধ) কিংবা পোচ করে খাওয়া উচিত। তবে চাইলে ডিম পুরোপুরি বয়েল করেও খেতে পারেন। তবে ডিম অমলেট করে সপ্তাহে এক কিংবা দুই দিন খেতে পারেন।

 

ডিমে যে যে উপাদান থাকে

একটি ডিম এ অ্যানার্জি থাকে প্রায় ১৪৩ ক্যালোরি, এতে কার্বোহাইড্রেট উপস্থিত থাকে প্রায় ০.৭২ গ্রাম এর মতো। একটি ডিমে প্রোটিন থাকে প্রায় ১২.৫৬ গ্রাম এবং এতে ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম। এছাড়াও একটি ডিমে ফসফরাস থেকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম থাকে ১৩৮ মিলিগ্রাম এবং জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।

একটি ডিমের সাধা অংশে থাকে প্রোটিন এবং এর কুসুমে থাকে ফ্যাট, ভিটামিন ও আয়রন। একজন শিশুর দৈহিক গঠন, হাড় মজবুত করতে, মেধার বিকাশ ঘটাতে ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভুমিকা পালন করে। এছাড়াও ডিমে থাকে ভিটামিন এ যা চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর কর‍তে সাহায্য করে।

বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা করে জানিয়েছেন যে রক্তস্বল্পতা, অপুষ্টি ও ডাইবেটিসের মতো রোগ কাটিয়ে উঠতেও ডিম খুবই সাহায্য করে। নিম্নে ডিম খেলে আরো কী কী রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে বিষয়ে বলা হলো।

 

ডিম খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাবেন

১. ডিমে থাকে অ্যানার্জি যার ফলে দৈনিক সকালে একটি করে ডিম খেলে সারাদিন ক্লান্তি বিহীন কাজ করার শক্তি পাওয়া যায়। তবে ডিম টি খেতে হবে হাফ বয়েল কিংবা পোচ করে।

২. ডিমে রয়েছে ভিটামিন ❝এ❞ যা আপনার দৃষ্টিশক্তি কে আরো প্রখর করতে সাহায্য করবে।

৩. ডিমে থাকে ভিটামিন ❝ই❞ যা আমাদের ত্বকে উপস্থিত থাকা ফ্রি র‍্যাডিয়েল কে ধ্বংশ করে দেয় ফলে ক্যান্সারের ঝুকি অনেকটা কমে যায়। এবং এটি আমাদের শরীরে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।

৪. ডিমে আরো থাকে ভিটামিন ❝ডি❞ যারা কি না পেশি ব্যাথায় ভুগছেন তাদের জন্য এই ডিম খুব ভালো একটি ঔষধ।

৫. যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের পেশিতে মাঝে মাঝেই ব্যাথা হয়। তাদের জন্য ডিম খাওয়া খুবই উপকারী।

৬. নারীদের স্বাস্থ্যর উন্নতির জন্য প্রতিদিন ৫০-৬০ শতাংশ প্রোটিন এর দরকার। আর একটি ডিম থেকে ৬.৫১ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

৭. এক গবেষণায় জানা গেছে ডিম খেলে হার্টের রক্ত জমাট বাধে না। এর ফলে হার্ট এটার্ক ও স্ট্রোকের মতো বড় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৮. অনেক শিশু আছে যারা বয়সের তুলনায় বদ্ধি পায় না। তাদেরকে নিয়মিত ডিম খাওয়ালে এই প্রতিবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৫০ শতাংশ চাঞ্চ রয়েছে।

৯. হাড় ও দাত মজবুদ করতে ডিমের ভূমিকা অতুলনীয়। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।

১০. অনেকের মনে ধারণা যে ডিমের কুসুম ওজন বাড়িয়ে দেয়। এটি ভূল ধারণা। বরং ডিম আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

এগুলো ছাড়াও ডিমের আরো এমন অনেক গুণ আছে যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি করে হাফ বয়েল, ফুল বয়েল কিংবা পোচ করে ডিম খান। এতে ফিট থাকবেন আপনি ও কাজ করতে পারবেন ক্লান্তিহীন।

 

তো বন্ধুরা আশা করি পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।

Share the article..

Leave a Comment