ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর ১০টি অসাধারন উপায়

ওয়েবসাইট স্লো কাজ করা মানে সাইটের ভিজিটর হারানো তাই আপনাদের সাথে সেয়ার করবো ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর উপায়। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সমস্যাগুলো মধ্যে সবচেয়ে  মারাত্মক  সমস্যা হচ্ছে ওয়েবসাইট স্লো কাজ করা এবং লোডিং স্পিড কম হওয়া অন্যতম। বিভিন্ন কারনে এই ওয়েবসাইট স্লো কাজ করা এবং লোডিং স্পিড কম সমস্যা গুলো হতে পারে।

ব্লগের লোডিং স্পীড, CDN ব্যবহার করা, ওয়েবসাইট পেজ স্পিড, পেজ স্পিডের জন্য সেরা ১০টি টিপস, ওয়েবসাইটের গতি পরিক্ষা করুন, উন্নত হোষ্টিং ব্যবহার করুন, HTTP request সংখ্যা হ্রাস করুন, পেজ স্পিড বৃদ্ধি করুন, আপনি কিভাবে আপনার পেজ স্পিড বাড়াতে পারেন?, সিডিএন ব্যবহার, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কমার কারণ, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর উপায়, কি কারনে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড স্লো হয়, ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড, ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়ানোর উপায়,

একটা ওয়েবসাইট লোডিং এর পারফেক্ট টাইম হচ্ছে ৩ সেকেন্ড। একটি সমিক্ষা চালানো হয়েছিলো সেখানে গুগলের মতে ৩সেকেন্ড এর মধ্যে যদি কোন ওয়েবসাইট পুরোপুরি লোড না নেয়, তবে সেই ওয়েবসাইট ৩০% ভিজিটর হারায়। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম ৩ সেকেন্ড এর বেশি  হয়ে থাকে তাহলে প্রতি ৩জনের মধ্যে ১জন ইউজার বিরক্ত হয়ে ওয়েবসাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকে।অন্য ওয়েবসাইট  এর দিকে চলে যায়।

seo এর ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট  বা ব্লগের লোডিং স্পিড ভূমিকা

এছাড়াও সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর ক্ষেত্রে ব্লগে লোডিং স্পিড খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে থাকতে হলে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানোর অথাবা অনেক ফাস্ট লোডিং স্পীড এর কোনো বিকল্প নেই।

ব্লগিং-এ সফলতার ক্ষেত্রে যত বেশি ব্লগের লোডিং স্পীড বেশী হবে ততো বেশি সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কারণ ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড এর ভিত্তি করে গুগলের সার্চ রেজাল্ট রেংক করে তাছাড়া  ব্লগের লোডিং স্পিড এর উপর ভিজিটরের প্রভাব রয়েছে। একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, যদি কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড তিন সেকেন্ডের বেশি সময় হয় সে ক্ষেত্রে সেই ওয়েবসাইটের অধিকাংশ ভিজিটর হারিয়ে ফেলে।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড কিভাবে চেক করবেন

আমরা গুগলের একটি টুলস দিয়ে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড কিভাবে চেক করবো। এই গুগল পেজ স্পিড টেস্ট টুলসটির মাধ্যমে আপনার সাইট যদি ৫০ এর ওপরে স্কোর করে তাহলে মোটামোটি ভালো ধরা চলে।আর সবচেয়ে ভালো  হচ্ছে ৯০ এর ওপরে থাকলে Google page speed test এর মাধ্যমে মোবাইল এবং কম্পিউটার ২ ভার্শনের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড কিভাবে চেক করা যায়। গুগল পেজ স্পিড টেস্ট সাইটের লিংকঃ https://developers.google.com/speed/pagespeed/insights/

তো আর বেশি বকবক বা করে চলুন এখন মূল আলোচনায় আসা যাক। আজকে আমরা জেনে নেব ওয়েবসাইট বা ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়ানোর নয়টি কার্যকারী টিপস যা সত্যি অনেক উপকার করবে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর ক্ষেত্রে

কিভাবে ব্লগের স্পিড বাড়ানো যায় ?কিভাবে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানো যায়?

ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানোর অনেক উপায় আছে।তবে আমরা কিছু জিনিস জানবো কেনো ব্লগ না ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড স্লো হয়ে যায়।কারণ ব্লগের লোডিং স্পিড স্লো হওয়ার কারণ জানতে পারলেই ব্লগের লোডিং স্পিড বাড়ানো উপায় জানা যাবে।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ানোর উপায়

১. নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা

আমরা অনেক সময় বাংলাদেশ হোস্ট প্রোভাইডার থেজে হোস্টিং নিয়ে থাকি।বাংলাদেশেও অনেক ভালো হোস্ট প্রোভাইডার আছে।কিন্তু অনেক হোস্ট প্রোভাইডার অনেক লোভনীয় অফার দিয়ে থাকে। কিন্তু এদের হোস্টিং মান অনেক খারাপ থাকে।আমাদের এই সব হোস্টিং থেকে বিরত  থাকতে হবে।না হয় ব্লগের লোডিং স্পিড বাড়ানো যাবে না। যতই চেষ্টা করি না কেন।

২. Amp Template ব্যবহার করা

Amp Template  ব্যবহার  করা মানে আপনার ওয়েবসাইট ১সেকেন্ড লোড হয়ে যাবে।আপনি যদি গুগল থেকে এই আরটিকেলটি দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপবি Amp ভারসনে দেখতেছেন। কারন আমি নিজেও amp প্লাগিন ব্যবহার করি যেনো আমার ভিজিটররা ওয়েব পেজ লোডিং স্পিড এর জন্য চলে না যায়।

৩. ওয়েবসাইট ঠিক ভাবে কনফিগার না করা

আমরা অনেকে আছি কম দামে ওয়েবসাইট  বানিয়ে নেই। কম দামে বানানোর ফলে দেখা যায় ওয়েবসাইট ঠিক ভাবে কনফিগার করা হয় না।ফলে ওয়েবসাইট অনেক স্লো হয়ে যায়। অনেক সময় ঠিক ভাবে সাইট কাস্টমাইজ করে না অথাবা প্রয়োজনীয় প্লাগিন গুলো ইনস্টল করে ফেলে রাখে ঠিক ভাবে কনফিগার  করা হয় না। ফলে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড স্লো হয়ে যায়। ব্লগের লোডিং স্পিড বাড়ানোর জন্য সাইটের কনফিগার ভালো ভাবে করা আবশ্যক।

৪. অতিরিক্ত ইমেজ না ব্যবহার করা বা ইমেজ অপটিমাইজ না করা

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক ইমেজ ব্যবহার করি যে গুলো এডিট করার সময় ইমেজের সাইজ অনেক বেশি হয়ে যায়। আমরা কোনো কিছু না করেই সরাসরি সাইটে ইমেজ গুলো আপলোড  করে থাকি।ইমেজ রিসাইজ না করায় আমাদের সাইটের লোডিং স্পিড স্লো হয়ে যায়। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত ইমেজ ব্যবহার করি তারজন্যও কিন্তু তার জন্যও ওয়েবপেজ লোডিং স্পিড কমে যায়।অতিরিক্ত ইমেজ না ব্যবহার করা বা ইমেজ অপটিমাইজ করে ইমেজ আপলোড  করতে হবে।

৫. ভিডিও এমবেড করা

আমরা অনেক সময় আরটিকেলটি বুঝানোর জন্য কয়েকটি ভিডিও এমবেড করে থাকি।কিন্তু এই ভিডিও এমবেড  না করে আমাদের ভিডিও লিংক দিয়ে দেওয়া উচিত।

৬. প্রযোজনের অতিরিক্ত প্লাগিনস ব্যবহার করা

ব্লগের জন্য কোনো প্লাগিন লাগে না।তবে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট  এর জন্য কিছু দরকারি প্লাগিন দরকার হয়।এগুলো ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটটি অনেক প্রফেশনাল করব তুলা হয়।তবে অনেকে৷ হুদাই অনেক প্লাগিন ইনস্টল করে রাখে এই সব বাদ দেওয়া লাগবে ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পীড  বাড়াতে হলে।

ওয়ারপ্রেসের জন্য wp rocket একটি প্লাগিন আছে। যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানো যায়। তাই আপনাদের রেকোমেন্ডেড করবো wp rocket প্লাগিন ব্যবহার করতে।এটি অবশ্য একটি পেইড প্লাগিন। যারা কিনে ব্যবহার করতে পারবেন।করবেন।আর যারা পারবেন না তারা কমেন্ট করে জানাবেন। আমি একটি আরটিকেল নিয়ে আসবো কিভাবে সেট-আপ করা লাগে তা নিয়ে সাথে wp rocket প্লাগিনটিও আপনাদের ফ্রি দিয়ে দিব।

৭. অতিরিক্ত Widgets ব্যবহার না করা

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি দেখলে দেখতে পাবেন আমরা প্রয়োজনীয়  কিছু Widgets ব্যবহার করেছি। প্রয়োনের বেশি Widgets ব্যবহার ব্যবহার করি নাই।এতে আমাদের সাইটটি অনেক সুন্দর এবং খুব দ্রুত ওয়েবপেজ লোড হয়।অনেকই আছে তারা কেটাগরিস ওয়াইস Widgets ব্যবহার করে।এতে ওয়েবসাইট বা ব্লগের লোডিং স্পিড কমে যায়। তাই ওয়েবসাইট  বা ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত Widgets ব্যবহার বিরত থাকতে হবে।

৮.অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করা

আপনি যে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর ১০টি অসাধারন উপায় এই আরটিকেলটি পড়তেছেন আপনি একটু খেয়াল করুন আমরা এই আরটিকেল ৩টা বিজ্ঞাপন দিয়েছি এবং Widgets এ ২ টা বিজ্ঞাপন দিয়েছি।এতে এই আরটিকেল এর দেখতে সুন্দর দেখায় কোনো হিজিবিজি নেই।

অনেকে আছে তাদের ওয়েবসাইটে অনেক বিজ্ঞাপন দেয়। ফলে পোস্ট এর মান ঠিক থাকে না।তাছাড়া বেশি বিজ্ঞাপন এর ফলে পেজের লোডিং স্পীড কমে যায়। ওয়েবসাইট বা ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়ানোর জন্য পরিমার্জিত বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে হবে।

৯.পপআপ Widgets ব্যবহার না করা

অনেকে আমরা পপ-আপ Widgets ব্যবহার করে থাকি।তবে আমাদের মনে রাখা উচিত যে, এগুলো জাভাস্ক্রিপ্ট বা কোডের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। যেটা বেশি ব্যবহার করলে আমাদের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড এর উপর প্রভাব ফেলে।

পপআপ Widgets ব্যবহার করতে মানাই করবো সরাসরি। কারণ পপআপ Widgets ব্যবহার করলে ওয়েবপেজ লোড নিতে অনেক সময় নেয়।না হয় আপনারা নিজেই বিষয়টি খেয়াল করে দেখুন।

১০. CDN ব্যবহার করা

আপনি CDN [Content Delivery Network] ব্যবহার করতে পারেন। CDN মুলত বিভিন্ন দেশের নিকটতম সার্ভার থেকে ভিজিটরদের মধ্যে যেটা বিভাজন করে দেয়। CDN গ্রুপিং হয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে থাকে।

আপনিও চাইলে CDN ব্যবহার করতে পারেন। এটা ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। আপনি চাইলে ফ্রিতে Cloudflare থেকে CDN ব্যবহার করতে পারেন।অনেকেই Cloudflare থেকে CDN ব্যবহার করে থাকে। Cloudflare ফ্রিতেও CDN ব্যবহার করার সুজুগ দিয়ে রেখেছে।

শেষ কথা

তো এই ছিল ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়ানোর ১০টি অসাধারন উপায়। ওয়েবসাইট অথবা ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়ানোর কার্যকরী কিছু টিপস। যেগুলো পরীক্ষিত যার ফলে আপনি যদি উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনার ওয়েবসাইটের অথবা ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়াতে সক্ষম হবেন। আশা করছি, আজকের পোস্টটি আপনি খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে়ে়ে পড়েছেন এবং সেই অনুসারে কাজ করলে আশা করি
আপনার ব্লগের লোডিং স্পীড বাড়াতে পারবেন।

Share the article..

Leave a Comment