ধেয়ে আসছে আইলার চেয়েও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ। বাংলায় ঠিক কবে এবং কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’

আমফানের দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ফিরিয়ে শীঘ্রই আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ইয়াশ (Cyclone Yash )। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ইয়াশ (Cyclone Yash ) এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ইয়াশ (Cyclone Yash ) ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকেই ভয়ঙ্কর হচ্ছে যশ বা ইয়াশ (Cyclone Yash )

২০০৯ সালে বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল আয়লা। সেই বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলার পর গতবছরের আমফানের স্মৃতি এখনো মনে ধগ কেটে যায়। এরই মধ্যে ফের আরো একবার বঙ্গোপসাগরে শনিবার অর্থাৎ ২২ মে নাগাদ তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপ তৈরি হবার ৭২ ঘন্টার মধ্যে শক্তি সংগ্রহ করবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ইয়াশ (Cyclone Yash )। ‘যশ’ নামটি রেখেছে ওমান। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের অভিমুখ মূলত বাংলাদেশের বাগেরহাট সহ ভারতের উত্তর-পশ্চিমে।

কোথায় কবে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড় যশঃ

আবহাওয়া শুত্র হতে জানা যায় শনিবার রাত থেকে রোববার সকালের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে দেশের খুলনা, বাগেরহাট এবং ভারতের উড়িশ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবতী এলাকায় ১৯০ থেকে ২১০ কিলোমিটার গতিতে বয়ে যাবে ঝড়ো হাওয়া। ২৬ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে। ওমানের আবহাওয়াবিদরা এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছেন যশ।

মৎস্যজীবীদের জন্য জারি সর্তকতাঃ

আমফানের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে যশ-এর প্রস্তুতিপর্বেও কোন খামতি রাখতে চায়না বাংলাদেশ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সরকার। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে সর্তকতা। ২৪ মের পর থেকে সমস্ত রকম সমুদ্রযাত্রা আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে পর্যটকদেরও। ইতিমধ্যেই উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে সরকার।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকেই ভয়ঙ্কর হচ্ছে যশঃ

২০০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল আয়লা। তারপর আরো কিছু ঘুনি ঝড় হলে এতো তান্ডব নিলা চালায় নাই। সেই বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলার পর গতবছরের আমফানের স্মৃতি এখনো সবার মনকে আতকে দেয়। এরই মধ্যে ফের একবার বঙ্গোপসাগরে শনিবার অর্থাৎ ২২ মে নাগাদ তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপ তৈরি হবার ৭২ ঘন্টার মধ্যে শক্তি সংগ্রহ করবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। ‘যশ’ নামটি রেখেছে ওমান। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের অভিমুখ মূলত বাগেরহাট এবং ভারতের উত্তর-পশ্চিমে।

যশ ঘুনিঝড় নিয়ে সরকারের পদক্ষেপঃ

আমফান এর সময় অনেক তৎপর ছিলো সরকার। এ বছরও কোনো খামতি রাখতে চায় না সরকার। সেই কারণে ইতিমধ্যেই ছুটি বাতিল করা হয়েছে জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি কর্মীদের। বুধবার উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, ত্রাণের জন্য তার্পোলিন, মেডিসিন, শুকনো খাবার, জল মজুত রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই দীঘা অন্যান্য উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আশঙ্কা করোনা রোগীদেরঃ

এই মুহূর্তে করোনায় বাংলাদেশে ও ওড়িশা কিছুটা কম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যথেষ্ট সমস্যায় রয়েছে বাংলা। অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় নির্ভরতা অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেটর। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়লে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হবে রোগীদের। ইতিমধ্যেই তাওকটের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত মুম্বাই, কর্ণাটক। ছবিটা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বাংলার জন্যও। এখন আগামী ২৬ মে প্রস্তুত থাকতে হবে দুই রাজ্যকেই।

Share the article..

Leave a Comment